কেন্দ্রীয় সরকারের খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের রেশন ব্যবস্থা একটু অভিনব কার্যক্রম যার মাধ্যমে দারিদ্র্যসীমা নিচে থাকা ব্যক্তিরা বিনা মূল্যে বা কম মূল্যে খাদ্যদ্রব্য পেয়ে থাকেন। এর ফলে নিম্ন দরিদ্র পরিবারের মানুষদের পুষ্টিগত খাদ্য দ্রব্যের যোগান হয়। রেশন কার্ড নিয়ে বিভিন্ন রকম জালিয়াতি ও দুর্নীতির খবর আসতে শোনা যায়। এই জন্য এইবার রেশন কার্ডেও চালু হতে চলেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ বা AI। এই ব্যাপারটি কি? এতে জনগণের কি সুবিধা হবে এ সমস্ত বিষয় জানতে হলে প্রতিবেদনটি পড়ে ফেলুন।
কেন্দ্রীয় সরকার রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য একের পর এক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে চলেছেন। রেশন ব্যবস্থায় অবস্থায় কোন রকম অভিযোগ রয়েছে কিনা সাধারণ মানুষের সে সমস্ত বিষয় জানার জন্যই AI ভিত্তিক একটি পোর্টাল চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, যার নাম ASHA। এই পোর্টালের মাধ্যমে সাধারণ জনগণ রেশন ব্যবস্থা হওয়া বিভিন্ন অভিযোগ সম্পর্কে জানাতে পারবেন। এর ফলে অভিযোগ জমা হওয়া বিভিন্ন ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থাপনা নেওয়া যাবে।
খাদ্য সুরক্ষা মন্ত্রী গত মঙ্গলবার, গুদাম পরিচালনার আধুনিকীকরণ, সরবরাহ শৃঙ্খলের দক্ষতা উন্নত করা, গণবণ্টন ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্যই ডিজিটাল উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
জানা যাচ্ছে, প্রত্যেক রেশন ডিলারশিপ অর্থাৎ ২০ লক্ষ রেশন ডিলারশিপ এর সাথে এই AI প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করা হবে। এজন্য কিন্তু সরকার আরো ৫ লক্ষ টাকা বেশি বরাদ্দ করতে হবে। রেশন ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার অর্থাৎ মোদি সরকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নির্ভর করার উপর বেশি জোর দিচ্ছে। বিশেষ করে রেশন ডিলারশিপ গুলোর উপর আরো বেশি নজরদারি দেওয়া হবে এখন থেকে। কেন্দ্রীয় সরকার দেশের ৮১ কোটি নাগরিককে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বন্টন করছেন কিন্তু এই নাগরিকরা সঠিক মত খাদ্যশস্য পাচ্ছে কিনা, খাদ্যের পরিমাণ ঠিকঠাক রয়েছে কিনা এ সমস্ত বিষয়ে স্বচ্ছতা জানার জন্যই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ চলেছে রেশন ব্যবস্থায়। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমেই রেশন গ্রাহকদের মোবাইল নাম্বারে ফোন করে জানতে চাওয়া হবে তারা ঠিকঠাক মতন খাদ্যশস্য পাচ্ছেন কিনা।
আরোও পড়ুনঃ- ভারতীয় রেলে টিকিট সুপারভাইজার, ক্লার্ক-সহ বিভিন্ন বিভাগে কর্মী নিয়োগের শূন্য পদের সংখ্যা ও আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হলো। জেনে নিন আবেদন পদ্ধতি সহ অন্যান্য তথ্য
কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রতিমাসে কুড়ি লক্ষ রেশন গ্রাহকের বাড়িতে ফোন যাবে। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হবে তা ঠিকঠাক মতন খাদ্যশস্য পেয়েছে কিনা, রেশন ডিলারশিপ কোনরকম টাকা নিয়েছেন কিনা এরকম আরো কিছু প্রশ্ন। ২০২৬ সালের মার্চ মাস থেকে এই পদ্ধতি কার্যকর করা হবে।
তবে রেশন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর নির্ভর করলে যেমন সুবিধা হবে তেমন কিছু অসুবিধা সম্মুখীন হতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনটা জানাচ্ছেন অনেক বিশিষ্ট লোকেরা। কারণ কোন ব্যক্তি যদি রেশন ঠিকঠাক মতো পেয়েছেন কিনা এই ব্যাপারে মিথ্যে বলেন তাহলে কি হবে? বর্তমানে যেহেতু আধার কার্ডের সাথে রেশন কার্ডের লিংক থাকার জন্য অনলাইনে সরকার একটা রিপোর্ট পেয়ে থাকেন, তাই অহেতুক ৬০ লক্ষ টাকা খরচ করা বিপক্ষ দলের নেতা-মন্ত্রীরা এই ব্যবস্থাকে সঠিক মনে করছেন না।
